গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন আলট্রাসনোগ্রাফ করলে গর্ভের বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন আলট্রাসনোগ্রাফ করলে গর্ভের বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
চিকিৎসা ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফের অবদান অনেক। বর্তমান বিশ্বে আলট্রাসনোগ্রাফ চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটির জনপ্রিয়তা কোন অংশে কম নয়। আজকে আমরা জানবো আলট্রাসনোগ্রাফ চিকিৎসার জন্য কতটা উপযুক্ত স্ক্যানিং এবং গর্ভাবস্থায় এটি কতটা নিরাপদ।
পেজ সূচিপত্র :
- আলট্রাসাউন্ড কি?
- বারবার আল্ট্রাসনোগ্রাফ করালে গর্ভের বাচ্চার কি ক্ষতি হতে পারে
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফের অবদান কতটুকু
- কোন কোন চিকিৎসার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফ করানো হয়
- শেষ কথা
- বারবার আল্ট্রাসনোগ্রাফ করালে গর্ভের বাচ্চার কি ক্ষতি হতে পারে
গর্ভকালীন সময়ে ঘন ঘন আলট্রাসনোগ্রাফ করালে গর্বের বাচ্চার কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেই
প্রথম গর্ভকালের সময় সব ডাক্তাররা আল্ট্রাসনোগ্রাফের পরামর্শ দিয়ে থাকেন কেননা, গর্ভের প্রথম তিন মাসের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাফ করালে ভ্রনের সকল তথ্য পাওয়া যায়। এই সময় পরীক্ষা করালে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে যেমন : ভ্রন জরায়ুর মধ্য আছে কিনা,ভ্রন যদি জরায়ুর মধ্যে প্রবেশ না করে তাহলে শিশুটির প্রাণের ক্ষতি হতে পারে, শিশুটি জরায়ুর মধ্যে কি পর্যায়ে রয়েছে, গর্ভ অবস্থায় মায়ের জন্য কতটুকু নিরাপদ রয়েছে, মায়ের জীবনের কোন ঝুঁকি রয়েছে কিনা, শিশুর হার্টবিট এসেছে কিনা।একটি শিশুর জন্ম থেকে পৃথিবীতে আশার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আল্ট্রাসনোগ্রাফ করা প্রয়োজন এতে বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় না। বরং মা ও শিশু দুজনের জন্য নিরাপদ। এছাড়াও প্রথম স্ক্যানের মাধ্যমে শিশুটির মানবদেহের বিভিন্ন অংশ স্ক্যানিং করা হয় যেমন
- গর্ভের আপনার শিশুটি ভালো আছে কি না
- আপনার গর্ভে জমজ বা একাধিক শিশু আছে কি না
- আপনি কত সপ্তাহের গর্ভবতী
- আপনার ডেলিভারির সঠিক তারিখ নির্ধারণ
- শিশুর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন যেমন মেরুদন্ড হাত-পা চোখ মাথা ইত্যাদি তৈরি।
- গর্বের শিশুর কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে কি না
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফের অবদান কতটুকু
চিকিৎসা ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাফের অবদান অনেক। এটির মাধ্যমে অনেক রোগ নির্ধারণ করা হয় যেমন : শরীরের লিভার, কিডনির সমস্যা, পেটের সকল সমস্যা,হার্টের সমস্যা প্রায় সকল রোগ নির্ণয় করা হয় গর্ভকালীন সময় এটির প্রয়োজন অনেক বেশি
রোগ নির্ধারণ প্রক্রিয়ার ব্যবহৃত শব্দ তরঙ্গের মাত্রা থাকে ২ থেকে ১৮ মেগাহার্জের মধ্য। উচ্চমাত্রার শব্দ ব্যবহার না করলে ভালো মানের ছবি পাওয়া যায়না।উচ্চমানের শব্দ তরঙ্গ প্রয়োগ করলে ত্বক বা মাংসপেশি চুষে নাই এবং ভালো স্ক্যানিং অর্থাৎ ছবি দেখা যায় ।
শেষ কথা আল্ট্রাসনোগ্রাফের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এটি একটি মেশিনারি যন্ত্র। বিশ্বের প্রতিটি দেশে এটির ব্যবহার করা হয়। কম টাকার মধ্য আলট্রাসনোগ্রাফ করা যাই। বিশেষ করে গর্ভ অবস্থায় গর্ভের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এটির ব্যবহৃত হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে গর্ভের সময় বেশি বেশি আলট্রাসনোগ্রাফ করালে বাচ্চার ক্ষতি হয় এটি সম্পূর্ণ ভুল কথা। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি এবং ত্রুটিপূর্ণ হচ্ছে কিনা তার নির্ণয় করা হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফের মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃhttps://www.rajtale.com/2023/09/blog-post_16.html
বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ