নারিকেল তেল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

 নারিকেল তেল এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

নারিকেল তেল এমন একটি জিনিস যার নাম শুনলেই সবার মাথায় আসে চুলকেন্দ্রিক কোন ভাবনা। আমাদের মধ্য অনেকেই মনে করেন চুল ছাড়া নারিকেল তেলের আর কোন ব্যবহার নেই। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা বর্তমান সময়ের নানা গবেষণায় বলছে নারিকেল তেল শুধু চুলের জন্যই নয় বরং এই তেলে রয়েছে আরও অনেক ব্যবহার। এটি এমন একটি তেল যা আমাদের শরীর ও ত্বককে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ উপকারী।

নারিকেল তেল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
নারিকেল তেল এর উপকারিতা ও অপকারিতা


বাজারে খোঁজ করলে আপনি খাবার উপযুক্ত নারিকেল তেল পেয়ে যাবেন। প্রতিদিন এই তেল খেলে আপনার শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে নারিকেল তেল আপনার মস্তিষ্ক রিলাক্স করতে সাহায্য করবে। তবে যে তেল রান্নায় ব্যবহার করছেন তা যেন বিশুদ্ধ নারিকেল তেল হয় তা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

সূচিপত্র :

  • নারিকেল তেল কি
  • কি কি কাজে নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয়
  • নারিকেল তেলের উপকারিতা
  • খাঁটি নারিকেল তেলের উপকারিতা
  • নারিকেল তেল খাওয়ার অপকারিতা
  • পরিশেষে

নারিকেল তেল কি

নারিকেল তেল হলো নারিকেল বা কপোল ফলের মধ্যে থাকা তেল। নারিকেল তেল একটি সাধারিত খাদ্য ও রোগনিবারণ উপকারী প্রকৃতির তেল হিসেবে পরিচিত।

নারিকেল তেলে বিভিন্ন ধরণের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, আমিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, এবং বিভিন্ন খনিজ যেমন ইয়োডিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকে। এছাড়াও, এতে অনেক মৌলিক তরল এসেন্সিয়াল ফ্যাটি এসিড যেমন লৌরিক, মাইরিসিনিক, ক্যাপ্রিলিক, ওক্টানিক, ডিক্যানিক ইত্যাদি থাকে।

নারিকেল তেল একটি প্রকার খাদ্যাদি হিসেবে ব্যবহার হতে পারে, এবং এটি কোকোনাট ট্রির অংশ হিসেবে বিশ্বভরে প্রচুরভাবে উপকারিতা পোষণ করছে। এটি খাদ্য, তাওয়া, পোষক তেল, চারখানা, মুখে বাদামি চেহারা প্যাক এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্যাদির তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

তারপরেও, এটি শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ফিজি, ইন্ডোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, ও বিভিন্ন অধিকাংশ উপকূলে উৎপাদিত হয় এবং এটি তাদের প্রধান আয় উৎপন্ন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস

কি কি কাজে নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয়

নারিকেল তেল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন:

  • রান্নায়: নারিকেল তেল বিভিন্ন ধরনের রান্নায়, বিশেষ করে এশিয়ান এবং ট্রপিকাল রান্নায়, ব্যবহৃত হয়। এটি স্টির-ফ্রাই, কারি এবং অন্যান্য সৌতেদ ডিশের জন্য উপযুক্ত।
  • বেকিং: নারিকেল তেল বেকিং এর জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে ডেইরি-ফ্রি বা ভেগান রেসিপির জন্য।
  • ত্বকের যত্নে: নারিকেল তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুণ কাজ করে, বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য। এটি স্কিন কেয়ার পণ্যের একটি সাধারণ উপাদান।
  • চুলের যত্নে: চুলের জন্য নারিকেল তেল পুষ্টিকর এবং চুলকে মজবুত ও ঝলমলে করে। এটি হেয়ার মাস্ক, সিরাম এবং কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • মেকআপ রিমুভার: নারিকেল তেল মেকআপ অপসারণের একটি কার্যকরী এবং নিরাপদ উপায়।
  • ম্যাসাজ ও আরোমাথেরাপি: ম্যাসাজ এবং আরোমাথেরাপিতে নারিকেল তেল একটি জনপ্রিয় বেছে নেওয়া হয়।

  • মুখের দেখভাল: ওয়েল পুলিং পদ্ধতিতে মুখের স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য নারিকেল তেল ব্যবহৃত হয়।
  • খাদ্য সংরক্ষণ: নারিকেল তেল খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক কনজারভেটিভ।
  • সানস্ক্রিন এবং ইনসেক্ট রিপেলেন্ট: কিছু প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন এবং মশা তাড়ানোর প্রোডাক্টে নারিকেল তেলের ব্যবহার হয়।
  • স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎস: কিছু ডায়েট, যেমন কেটোজেনিক ডায়েট, এতে নারিকেল তেল স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

নারিকেল তেল এর উপকারিতা

নারিকেল তেলের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। চুলের যত্নে, চামড়ার খসখসে ভাব দূর করতে নারিকেল তেলের উপকারিতার কথা সবাই জানে।এছাড়াও ওজন কমাতে নারিকেল তেল বেশ উপযোগী

চুলের যত্নে

নারিকেল তেল চুলের গোড়াকে পুষ্টি দেয় এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি খুশকি দূর করতে, চুল পড়া রোধ করতে এবং চুলের বৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেআদিকাল থেকে চুলের যত্নে নারকেল তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। রুক্ষ মলিন প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তুলতে নারকেল তেলের জুরি নেই। নারিকেল তেলের প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার চুলকে নরম করে তোলে। এছাড়া নারিকেল তেলে আছে প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন বি ও সি, জিংক পটাশিয়াম যা চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায়। এছাড়াও নারিকেল তেল অনেক শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং খুশকি চিকিৎসার প্রধান উপাদান।

ত্বকের যত্নে

নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুন উপকারি। তাছাড়া ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের আদ্রতা বজায় রেখে বাহ্যিক দূষণ থেকে তোকে রক্ষা করে।নারিকেল তেল ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

পাচনতন্ত্র উন্নতি

নারিকেল তেলে থাকা মাধ্যম শৃঙ্খল ফ্যাটি অ্যাসিড পাচনতন্ত্রের কাজ উন্নত করে। এটি হজমের সমস্যা ও ইরিটেবল বোয়েল সিন্ড্রোমের মতো সমস্যা উপশম করতে পারে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে নারিকেল তেল

নারিকেল তেল দিয়ে রান্না করা খাবার শরীরের জন্য উপকারী কারণ এই তেল হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নারিকেলের চর্বিতে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান পরজীবী জীবাণ্য বা ছত্রাকের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সক্ষম হয়। খাঁটি নারিকেল তেল ভিটামিন খনিজ পদার্থ সহ আমি নো এসিড রয়েছে।

ওজন কমাতে নারিকেল তেল

যুগ যুগ ধরে চুলের যত্ন থেকে শুরু করে মানসিক ক্লান্তি হজমের সহায়তা ত্বকের যত্নে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কাটা ছেড়ার চিকিৎসায় ও প্রাথমিক পণ্য হিসেবে এটের ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নারিকেল তেলে রয়েছে অধিক মাত্রায় ফাইবার খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন। এতে পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে এতে পরিমিত মাত্রায় ফাটি এসিড থাকে যা অত্যাধিক ওজন এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।নারিকেল তেলের চর্বি শরীরে ভিন্ন উপায়ে পোড়ানো হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

চোখের ক্লান্তি দূর করতে নারিকেল তেল

চোখের নিচে ফোলা ভাব ক্লান্তির ছাপ দূর করতে দারুন কার্যকর। তাছাড়া চোখে নিচের বলিরেখা দূর করে চোখ সতেজ করতে সাহায্য করে এই তেল। নারকেল তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও অনেক সময় চোখে ময়লা পড়ে লাল হয়ে যায় সামনে একটু তেল চোখের কোনায় দিলে ময়লা উঠে যায়।

হাড়ের সুরক্ষায় নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। যা হার ভালো রাখে এ পুষ্টি উপাদানের মধ্যেও বয়সে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। নারিকেল তেল ব্যবহারে হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর হয়।

দাঁতের যত্নে নারিকেল তেল

নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা দাতের জন্য অনেক উপকারী। নারিকেল তেল ক্ষয় রোধ করতে দাতকে মজবুত রাখে। নারিকেল তেল দিয়ে "অয়েল পুলিং" করা মুখের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং দাঁতের প্লাক রোধ করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

নারিকেল তেল রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে। এটি রক্তের গ্লুকস কে সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। নারিকেল তেল অতিরিক্ত চর্বি জমাতে বাধা দেওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া প্রয়োজন।

কিডনির যত্নে

অনেক কারণে নারিকেল তেল কিডনি এবং পিত্তথলির রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল কিডনির পাথরের আকার ছোট করতে পারে অথবা পুরোপুরি অবসান করতে পারে।

লিভার বা যকৃতের যত্নে

নারিকেল তেল ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা লিভারে গিয়ে শক্তি উৎপন্ন করে এবং লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।এটি লিভারের কাজ কমিয়ে দেই এবং লিভারের চর্বি জুমতে বাধা দেয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নারিকেল তেল

কিছু গবেষণা অনুযায়ী, নারিকেল তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, যদিও এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে এবং বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।

খাঁটি নারিকেল তেলের উপকারিতা

খাঁটি নারিকেল তেলের উপকারিতা অনেকগুলি রয়েছে, এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য একটি উত্তম প্রাকৃতিক সাধারণ উপাদান হিসেবে পরিচিত। নিচে খাঁটি নারিকেল তেলের কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:

  • মাইক্রোবিয়াল নিয়ন্ত্রণ: খাঁটি নারিকেল তেলে থাকা ক্ষারাত্মক গুণাবলী কারণে এটি ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস এবং অন্যান্য মাইক্রোবিয়াল বাওয়াল করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বকের সাথে সাথে যোগান্তরে বা মুখমুখি ব্যবহারে এন্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব ফেলতে সাহায্য করতে পারে।
  • পাচন সাহায্য: খাঁটি নারিকেল তেল পাচনতন্ত্রে সাহায্য করতে পারে এবং অপচয়কৃত খাদ্যতত্ত্বের সাথে সহায়ক।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: খাঁটি নারিকেল তেলে থাকা মাধ্যম শৃঙ্খল ফ্যাটি অ্যাসিড পাচনতন্ত্রের কাজ উন্নত করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • হৃদরোগের প্রতি উপকারিতা: কিছু গবেষণা অনুযায়ী, খাঁটি নারিকেল তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ব্রেথ ফ্রেশনার জন্য: খাঁটি নারিকেল তেল ব্যবহার করা হতে পারে মুখ ও শ্বাসকণ্ঠের দুর্গন্ধ বৃদ্ধি করতে এবং ব্যাকটেরিয়াল প্রতিরোধ করতে, যা মুখগত দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এগুলি হলো খাঁটি নারিকেল তেলের কিছু উপকারিতা, এবং এটি একটি সাধারণ রকম খাদ্যাদি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে, এই তথ্যগুলি সাধারিত সহজ পর্যালোচনা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত এবং স্বাস্থ্যকর কারণে কোনও খাদ্য বা পরিস্থিতির জন্য ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নারিকেল তেল খাওয়ার অপকারিতা

নারিকেল তেল খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতা রয়েছে, যেগুলি নিম্নরূপ:

  1. উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট: নারিকেল তেলে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এটি এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  2. ওজন বৃদ্ধি: উচ্চ ক্যালরি মানের কারণে, নারিকেল তেল অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
  3. অ্যালার্জি: কিছু মানুষের নারিকেল বা নারিকেল জাতীয় পণ্যে অ্যালার্জি থাকতে পারে। এই ধরনের অ্যালার্জি সমস্যা যুক্ত ব্যক্তিদের নারিকেল তেল এড়িয়ে চলা উচিত।
  4. ডায়রিয়া এবং পেটের সমস্যা: বেশি পরিমাণে নারিকেল তেল গ্রহণ করলে ডায়রিয়া, পেট ফোলা বা পেটের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
  5. স্বাস্থ্য ঝুঁকি: নারিকেল তেল অন্যান্য খাদ্য তেলের তুলনায় উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায়, এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।


  1. যাহোক, নারিকেল তেলের অপকারিতা সবার ক্ষেত্রে একইরকম হয় না। এর প্রভাব ব্যক্তির জীবনধারা, স্বাস্থ্যের অবস্থা, এবং ব্যবহারের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। তাই, নারিকেল তেল ব্যবহার করার আগে সংযত ও বিবেচনাশীল থাকা এবং প্রয়োজনে পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কখনো কখনো হঠাৎ করে আমাদের হাত পা দেহের অন্য কোন অংশ পুড়ে গেলে এই অবস্থায় পুড়িয়ে যাওয়া স্থানে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে দেখবেন জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে গেছে। তবে মনে রাখবেন, ফুরিয়ে যাওয়া স্থানে অতি দ্রুত নারিকেল তেল লাগাবেন না বরং কিছুক্ষণ পর এই তেল ক্ষতস্থানে ব্যবহার করতে পারে।

অন্যদিকে ত্বক মশ্চায়ার করতেও কিন্তু নারিকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। শীতের দিনে অনেকে লোশন এর পরিবর্তে ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করে। এটি মূলত আমাদের ত্বকে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নারিকেল তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণ আন্টি অক্সিজেন উপাদান যা আমাদের ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং রিংকেল দূর করতে অনেক ভূমিকা রাখে। আবার গায়ের ব্যথা উপশম করতে, অনিদ্রা দূর করতে, ত্বকের বলি লেখা প্রতিরোধ করতে, হজমের সমস্যা দূর করতেও নারিকেল তেল অনেক উপকারী।

পরিশেষে

নারিকেল তেল আদিকাল থেকে বিশেষভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। নারিকেল তেলের গুনাগুন এবং এর ব্যবহারবিধি উপরে আলোকে আমরা আলোচনা করেছি। আপনারা যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নারিকেল তেলের ব্যবহার বা গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারবেন। নারিকেল তেল খাবার থেকে শুরু করে সব কাজে ব্যবহার করা হয়। নারিকেলের তেলের সঙ্গে মেথি এবং আমলকি মিশিয়ে রেখে মাথার চুলে লাগানো চাই অনেকদিন পর্যন্ত।

বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আপনারা কি সম্পর্কে জানতে চান তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url